Why do you need to know about logo design?
কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের প্রতীককে লোগো বলা হয়। আর এই লোগো টিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি করা বা আকৃতি দেয়াকে লোগো ডিজাইন বলে।
যে কোনও ব্যবসায়, সংস্থা, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস ও পণ্যের প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো লোগো। শুধুমাত্র লোগো ডিজাইনের মাধ্যমেই আপনি চাইলেই শুরু করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।যে কেউই কোর্সটি শিখে তার ক্যারিয়ারের সূচনা করতে পারবেন সফলভাবে। যেকোন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে লোগো । আর এ কারণেই লোগো তৈরির পিছনে ব্র্যান্ড অপটিমাইজেশন বাজেটের একটি বড় অংশ বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই লোগো ডিজাইনার হিসেবে দেশীয় মার্কেট প্লেস থেকে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব।এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করেও ফ্যাকচুয়ালি আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য অনেক সেক্টরই রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে লোগো ডিজাইন অন্যতম। অনলাইন মার্কেটপ্লেস (Fiverr, Freelancer, Upwork, graphic river, 99designs) গুলোতে প্রচুর লোগো ডিজাইনের কাজ রয়েছে। এসব সাইটে ডিজাইন কন্টেস্ট গুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমেও হাজার ডলার আয় করা সম্ভব।সুতরাং, এই কোর্সটির মাধ্যমে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন এবংবৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনে নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখুন।
Why do you learn logo design?
অনেক কম সময়ে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব।
তুলনা মূলক কম কাজ করা লাগে
এটা র্পাট টাইম হিসাবে করতে পারেন।
খাতা কলমে এঁকে পরর্বতীতে বিভিন্ন সফওয়াররে মাধ্যমে কম্পউিটারে দিয়ে কাজ শেষ করতে পারবনে।
এই ধরনরে কাজরে চাহিদা অনকে বেশি এজন্য সবসময় লোগো ডিজাইন করে আয় করতে পারবনে।
অনলাইন র্মাকটেপ্লসে ছাড়াও বড় বড় কোম্পানতিে লোগো ডিজাইন এর চাকরি করতে পারনে।
Who can learn logo design?
যারা অনলাইনে আয়ের কথা ভাবছেন, তারা খুব স্বল্প সময়েই লোগো ডিজাইন কোর্স শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারবেন। Catadu.com এর স্টেপ বাই স্টেপ লোগো ডিজাইন কোর্স করে আপনিও হতে পারবেন একজন দক্ষ লোগো ডিজাইনার | যদি আপনার মাঝে ক্রিয়েটিভিটি থাকে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইনে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে লোগো ডিজাইন একটি নিখুঁত সেক্টর। বিশ্বে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এবং অফলাইন মার্কেটপ্লেসের এর চাহিদা ব্যাপক।
What is Logo Design Carrier?
আপনি যদি একজন ভাল মানের দক্ষ লোগো ডিজাইনার হতে পারে না তাহলে বর্তমান বিশ্বের যে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে এতে আপনার চাহিদা থাকবে টপ লেভেলে। মনে রাখবেন আপনি যদি একজন তাহলে কিন্তু আপনি শুধুমাত্র একটি চাকরির পিছনে দৌড়াবেন না কেননা আপনার পিছনে অনেক কোম্পানির বিল্ডিং করার জন্য লোগো ডিজাইন করে নিতে আপনাকে হায়ার করে থাকবে। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন প্রফেশনাল ডিজাইনারকে তারা একটি লগো ডিজাইনের বিনিময় 100 থেকে 1000 ডলার পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত থাকেন।
তাহলে বুঝতে পারছেন আপনি যদি একটি ভালো মানের বা একজন দক্ষ ডিজাইনার হন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার কোথায় থাকবে। অনলাইনে এর চাহিদা তা কিন্তু নয় বর্তমানে অফলাইনে এর ব্যাপক চাহিদা। আপনার যদি নিজের উপর ভাল কনফিডেন্স থাকেন বা যদি সৃজনশীল মনোভাব থাকে তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে একটি দক্ষ লোগো ডিজাইনার হতে পারবেন এবং আপনার ভাল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন
What do you need to learn about logo design?
Logo Design সম্পর্কে শিখতে ইন্টারনেট কানেকশন সম্পন্ন কম্পিউটার থাকা আবশ্যক। এর পাশাপাশি ইংরেজিতে কমিউনিকেশন দক্ষতা থাকা দরকার। এ বিষয়ে ভাল দক্ষতা আছে এমন Instructor এর গাইডলাইন পেলে ভাল, যা আপনি পাবেন catadu.com এর Logo Design Course এ।
What will you Learn in this Course?
=> Adobe Illustrator কিভাবে install করবেন।
Adobe Illustrator-এর Tools গুলোর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
=> আপনি কি কোর্সে Logo Mock up, Line And Rectangle Tool, Text Style, 3D font and Warp Style শিখতে পারবেন।
=> আপনি কিভাবে Freelancer ID Create করবেন and কিভাবে Useful Profiles তৈরি করবেন
=> কিভাবে Contest অংশগ্রহন করবেন এবং Win করবেন।
=> কিভাবে একটি Project clint-এর কাছে Hand Over করবেন।
=> কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা withdraw করব।
=> সবশেষে কাজ সফলভাবে করার জন্য থাকছে টিপস।
কোথায় কাজ করা যাবে
এটা তো অনেক কমন একটা প্রশ্ন কোথায় কাজ করা যাবে। অনেকগুলি মার্কেটপ্লেস আছে। এর মধ্যে সবগুলির কাজের ধরন এক না। কোনটায় আপনাকে জব এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়, কোনটায় কাজ জমা দিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে হয় আবার কোনটায় প্রতিযোগিতা। যার ডিজাইন প্রথম হবে সে টাকা পাবে। কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস নিয়ে ছোট করে লিখছি।
Upwork.com
যেটা আগে Odesk নামে ছিল। বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি মানুষ এর কর্মরত মার্কেটপ্লেস এটি। আর সে জন্য অনেক প্রতিযোগিতাও আছে এখানে। এখানে আপনাকে বিড( অর্থাৎ জব এর অ্যাপ্লাই করে কাজ নিতে হয়)। আর সে জন্য এখানে আপনার পোর্টফলিও অথবা আপনার নিজের করা কিছু মান সম্মত কাজ জমা রাখতে হয়, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Freelancer.com
এটি ও অনেক জনপ্রিয় একটা মারকেটপ্লেস। এখানে বিড এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সিস্টেম আছে। বিভিন্ন ডিজাইন এর উপর কম্পিটিশন হয়, সেখানে আপনি অংশগ্রহন করতে পারেন। আপনি যদি ঠিক মত কাজ শিখে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি সফল হতে ই পারেন। আর এখানে কম্পিটিশন এর ফলে এই মার্কেটপ্লেস অন্যরকম একটা মাত্রা যোগ হয়েছে।
99design.com
এটি সম্পূর্ণ ভাবে গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য একটি মার্কেটপ্লেস এবং কম্পিটিশন নিরবর একটি মার্কেটপ্লেস, এখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন এর উপর কম্পিটিশন হয়। এবং এরকম ও কম্পিটিশন আছে যেটা আমি জয় লাভ করলে ১২০০ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেব। একটা ডিজাইন ১২০০ ডলার পর্যন্ত। কিছু কম মূল্য এর কম্পিটিশন আছে যেখানে আপনি অংশগ্রহন করতে পারেন প্রথম দিকে কারন সেখানে প্রতিযোগীর পরিমান কম থাকে অথবা যারা থাকে তাদের বেশির ভাগ ই নতুন থাকে তাই জয় লাভ করা খুব কঠিন হয় না।
graphicriver.net
Invato এর একটা পার্ট এটি। এখানে আবার সিস্টেম অন্যরকম। অনেকটা মার্কেট এর দোকান এর মতন। আপনার ডিজাইন সেখানে থাকবে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা সেখানে যাবে বিভিন্ন ডিজাইন কিনার জন্য। আপনার ডিজাইন যদি তার ভালো লাগে সেটা সে কিনে নিবে। আর একটা ডিজাইন একবার না একটা ডিজাইন হাজার হাজার বার ও বিক্রি হতে পারে। তাই আপনি যদি একটি ও ভালো ডিজাইন করে সেখানে দিতে পারেন আর সেটা যদি বায়ারদের পছন্দ হয়ে যায় তাহলে সে ডিজাইন থেকে টাকা আসতে থাকবে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। তবে এখানে আপনি ইচ্ছা করলে ই ডিজাইন দিতে পারবেন না। ডিজাইন করে সাবমিট করার পর সেটা একটা রিভিউ টিম এর কাছে যায়, তাঁরা যদি মনে করে আপনার ডিজাইন ভালো হয়েছে, অন্য কারোটা কপি করেন নাই তাহলে সেটা আপ্রুভ হয় আর আপ্রুভ হলে ই আপনার ডিজাইন বিক্রির জন্য রেডি।
fiverr.com
এটি ও চমৎকার একটি মার্কেটপ্লেস এটার সিস্টেম টাও একটু অন্যরকম। এখানে আপনাকে গিগ বানাতে হয় অর্থাৎ আপনি যে সার্ভিস দিবেন সেটার জন্য একটা পোর্টফলিও এর মত। এরপর সেই গিগ মার্কেটিং করতে হয়, তারপর আপনার গিগ ফাইবার এ যারা কাজ দেয় তাদের পছন্দ হলে তাঁরা আপনাকে কাজের জন্য অর্ডার করে। ফাইবার এ আপনি বিড এর মাধ্যমে ও কাজ আনতে পারেন। আর ফাইবার এর সুবিধা হলো এখানে কিছু বেসিক লেভেল এর কাজ পাওয়া যায় যা নতুন দের জন্য খুব ই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও people per hour, guru এবং আরও কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি কাজ করতে পারেন এগুলি মুলতো বিড ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস
কিছু সমস্যা এবং তার সমাধান
ইংলিশ এ ভালো না
আপনি যদি ইংলিশ এ ভালো না হন তাহলে আপনি বিড ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস এ কাজ না করেন। এখানে বায়ার এর সাথে সারাসরি যোগাযোগ করতে হয় তাই ইংলিশ এ চালানোর মত একটা দক্ষতা দরকার, যেহেতু গ্রাফিক ডিজাইন খুব যে বেশি এক্সপার্ট হউয়া লাগবে এমন না কিন্তু আপনি তার কথা বুঝেন, সে আপনার কথা বুঝে এরকম লাগবে। আর যদি মনে করেন এগুলি ও পারবেন না কোন সমস্যা নেই আপনি গ্রাফিক রিভার এ কাজ করেন, ৯৯ ডিজাইন, ফ্রীলাঞ্চের এর কম্পিটিশন এ অংশ নেন এখানে বায়ার এর সাথে সরাসরি ওরকম ভাবে যোগাযোগ করতে হয় না।
চাকুরি করে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। কেন না। আমি এটা কোনভাবে ই বলবো না যে চাকুরি বাদ দিয়ে ফ্রীলাঞ্চিং এ চলে আসুন। চাকুরি আছে চাকুরি করেন। এর মধ্যে যখন টাইম পাবেন কাজ করবেন। এরপর যখন দেখবেন আপনি মার্কেটপ্লেস থেকে নিয়মিত উপার্জন করছেন তখন চাকুরি ছেরে দেন, এদিকে আরও মনযোগী হন। এই ক্ষেত্রে ও আপনাকে বিড ভিত্তিক কাজ করার কথা আমি বলবো না। এখানে ও আপনি গ্রাফিক রিভার, ফ্রীলাঞ্চের, ৯৯ ডিজাইন এগুলিতে চেস্টা করেন। আপনার যখন সময় হবে ডিজাইন করে জমা দিবেন। গ্রাফিক রিভার এ তো কোন কথাই নাই। বই বিক্রির মত অনেকটা। একটা ডিজাইন ই অনেক বার বিক্রি হতে পারে। ৪০০০ বার ৫০০০ বার হয়ত আরও বেশি এবং যতবার ডিজাইন বিক্রি হবে ততবার আপনি টাকা পাবেন। সেটা সারাজীবন ও হতে পারে।
রাত জাগা নিয়ে সমস্যা
তাদের ই সমস্যা হবে যারা বিড ভিত্তিক কাজ গুলি করে। তাদের রাত জাগতে হয় কারন আমাদের যখন রাত অনেক দেশ এ তখন দিন। অফিস টাইম। এখন তাঁরা তো আমাদের জন্য রাত জেগে বসে থাকবে না আমাদের ই থাকবে হবে। রা জাগতে না পারলে দুইটা কাজ করতে পারেন, আপনি বিড ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবেন না অথবা যদি করেন তাহলে আমাদের দেশ এর সাথে টাইম এ বেশি পার্থক্য না এরকম দেশ এর বায়ের এর সাথে কাজ করেন। এরকম অএঙ্ক দেশজ আছে, এবং সেই দেশ থেকে অনেক কাজ ও পাওয়া যায়।
তাহলে আশা করি বুঝতে পারছেন গ্রাফিক ডিজাইন আপনার জন্য কেন সেরা পেশা। তারপর অ কিছু পয়েন্ট দিয়ে দেই
১. অনেক মজার কাজ, আপনার কাছে মনে ই হবে না কাজ করছেন।
২. আপনার প্রতিভাকে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন
৩. অন্যান্য কাজের থেকে গ্রাফিক ডিজাইন তুলনামূলক সহজ
৪. এই কাজের চাহিদা মার্কেটপ্লেস এ অনেক
৫. দেশে ও এর অনেক চাকুরির সুযোগ আছে
আউটসোর্সিং এবং আমাদের বাস্তবতা
আউটসোর্সিং আউটসোর্সিং আউটসোর্সিং এখন এই শব্দটা বাংলাদেশ এ আমার মনে হয় শব্দ থেকে জনপ্রিয় শব্দ। এখন কথা হচ্ছে যতটা জনপ্রিয় ঠিক সেই ভাবে কি কেউ শিক্ষিত এই শব্দটা নিয়ে? সবাই কি জানে এর অর্থ কি? আউটসোর্সিং কিভাবে করতে হয়? আমার মনে হয় অনেকেই জানে না ব্যাপারটা, আর যতটুকু জানে ততটুকু সবাই ঠিক মত জানে না। সে জন্য আমার এই লেখা। আশা করি ভাল লাগবে।
আউটসোর্সিং কি?
সবার প্রথমে একটা ভুল ধারনা ভাঙিয়ে দিতে চাচ্ছি সেটা হল আউটসোর্সিং কোন কোর্স না। আউটসোর্সিং শিখানো যায় না। আউটসোর্সিং একটা পেশার নাম। আমরা যেরকম চাকুরি করি, ব্যাবসা করি সেরকম একটা পেশার নাম আউটসোর্সিং। এখন কথা হচ্ছে আউটসোর্সিং জিনিশটা কি? কি ধরনের পেশা? আপনি একটা নির্দিষ্ট কাজ করে বাইরের কোন সোর্স থেকে টাকা উপার্জন করাকেই আউটসোর্সিং বলে। সেটা যে আবার সব সময় দেশের বাইরেই হতে হবে এমন ও না কিন্তু। আপনি বাংলাদেশ এর ভিতর ও আউটসোর্সিং করতে পারেব। আরও সহজ ভাবে যদি বলি আউটসোর্সিং হল চুক্তি ভিত্তিক একটা কাজের মত যেটা ভাল মত করতে পারলে আপনি টাকা পাবেন।
আমরা আউটসোর্সিং বলতে যা যা বুঝি
আউটসোর্সিং মানে ই হল ইন্টারনেট এ প্রবেশ করে খুব সহজে ঘর এ বসে চোখের নিমিষে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা। সে জন্য অনেকে প্রশিক্ষন কেন্দ্রগুলিতে আউটসোর্সিং শিখতে যায় এবং বলে আউটসোর্সিং কোর্স কিভাবে করতে হয়।
ব্যাপারটা আসলে একদম ই ওরকম না। আগে ই বলেছি আউটসোর্সিং হল একটা পেশা। চাকুরি, ব্যাবসার মত একটা পেশা। এখন এ ভাবে ই চিন্তা করুন। আপনি চাকুরি করতে গেলে আপনাকে ত দক্ষ হতে হবে একটা বিষয় এ তাই না? বিজনেস এর ক্ষেত্রে ও অনেকটা তাই। আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে অন্যরকম কিছু না। আপনি এই পেশায় আসতে হলে আপনাকে দক্ষ হতে হবে, তারপর আপনি এই পেশায় আসতে পারেন।
কি ধরনের দক্ষতা দরকার
আউটসোর্সিং মানে এই না যে আপনি শুধু গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এস ই ও ইত্যাদির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করতে পারবেন এগুলি জানা না থাকলে সম্ভব না। এটা অবশ্যই সত্যি যে এগুলির চাহিদা বেশি কিন্তু এটা নয় যে এগুলি ছাড়া করা যাবে না। আপনি লেখালেখি করে, ভাষান্তর এর কাজ করে এবং আরও নানান ভাবে ও আউটসোর্সিং করতে পারবেন।
কতটা সহজ আউটসোর্সিং করা
এখানে ই বোধয় আমরা সব থেকে বড় ভুল করি। মনে করি খুব ই সহজ জিনিস, এই শিখবো আর টাকা। শিখা শেষ ও করা লাগবে না টাকা। সে জন্য কি হয় একটু বলি।
কেউ কোর্স করতে গেল। ধরলাম গ্রাফিক ডিজাইন। তার মধ্যে প্রথম থেকে ই টার্গেট আউটসোর্সিং করবে। তাকে যে ভাল মত সেটা শিখতে হবে সেদিকে তার কোন মনোযোগ নাই। প্রশিক্ষক ভাল মত শিখাচ্ছে মাঝ পথে দেখা গেল জানতে চাইল এরকম করে শিখলে টাকা ইনকাম করা যাবে? ওই যে বললাম তার শিখার দিকে আগ্রহ নাই, প্রথমেই সে চিন্তা করছে যে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাবে। দুই একটা ক্লাস শেষ হতে না হতে ই স্যার আউটসোর্সিং এর ক্লাস নেন। দুই একটা ডিজাইন হয়ে গেলে ই স্যার এখন তো কাজ পাব? আউটসোর্সিং এর ক্লাস নেয়া হল। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা দেয়া হল, সে নিজে ও একাউন্ট ওপেন করল। দুই দিন পর ই অভিযোগ স্যার কাজ তো পাই না। গ্রাফিক রিভার এ ফাইল আপলোড করেছি আপ্প্রুভ তো হয় না। আপওয়ার্ক এ তো দুইটা বিড করলাম, বায়ার তো কোন উত্তর দেয় না। ফাইবার এ তো গিগ বানালাম কাজ তো আসে না। আউটসোর্সিং এর ক্লাসগুলো আর ভাল করে নিলে মনে হয় কাজ পেয়ে যেতাম। আর আউটসোর্সিং এর ক্লাস নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। ইত্যাদি ইত্যাদি। আশা করছি লিখাগুলি পরে কেউ মন খারাপ করবেন না। আপনাদের জন্যই লেখা। আপনারা যেন সঠিক পথে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন সে জন্য ই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া।
তাহলে কি করতে হবে আসলে
উপরে যেগুলি লিখলাম যারা এরকম চিন্তা করছেন তারা সফল হতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ। আমার কাছে মনে হয় পারবে না। কারন আউটসোর্সিং পেশায় যেতে হলে আপনাকে আউটসোর্সিং না আপনাকে যে কাজ শিখছেন সেটা ভাল করে শিখতে হবে। দুইটা ক্লাস হউয়ার পর ই আউটসোর্সিং এর ক্লাস এর কথা চিন্তা না করে নিজের দক্ষতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা চিন্তা করতে হবে। গ্রাফিক রিভার, আপওয়ার্ক, ফাইবার এ যাওয়ার আগে কাজটা ঠিক ভাবে জেনে নিতে হবে।আর যদি অভিজ্ঞতার জন্য যেতে চান তাহলে কোন ভাবে ই আশা করা যাবে না যে দুইটা কাজ আপলোড করলে ই আপনার কাজ তারা আপ্প্রুভ করবে। কারন আপনি নিজে ই এখনো ঠিক মত শিখেন নাই।
আর যারা টেকনিক খুজে বেড়ান যে কোন ফাঁকে কি ভাবে কি করলে আমি কাজ পাব তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি এখানে ঘুষ দেয়ার কোন বাবস্থা নাই যে আপনার খারাপ ডিজাইন তারা ভাল বলে চালিয়ে দিবে। তাই আপনাকে আগে কাজ শিখতে হবে।
দুইটা কাজ করার পর আপনি দক্ষ হয়ে গেলেন ব্যাপারটা একদম ই এরকম না। দক্ষতা এতো সহজ জিনিস না। আপনাকে আগে জানতে হবে কোন ডিজাইন কিভাবে করে, সে জন্য আপনার প্রশিক্ষন কেন্দ্র, আপনার শিক্ষক আপনাকে সহযোগিতা করবে। এরপর শুরু হবে আপনার পালা। একের পর এক ডিজাইন করে যেতে হবে। বিভিন্ন ভাবে চিন্তা করে ডিজাইন করে যেতে হবে। প্রচুর পরিমান এ প্র্যাকটিস করতে হবে। তাহলে ই সফলতা আশবে, ব্যাপারটা এমন না যে ৩০ মিনিট সময় পেলাম একটু গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে বসি। ব্যাপারটা এমন হতে হবে যে গ্রাফিক ডিজাইন করতে করতে অনেক সময় হয়ে গেছে এখন ৩০ মিনিট বিশ্রাম নেই।
সফলতা কখন আসবে
সফলতা তখন ই আশবে যখন আপনি খাওয়া দাওয়া ভুলে গিয়ে কাজে লেগে যাবেন। আপনার মা অথবা আপনার বউ আপনাকে অনেক বার ডাকার পর ও আপনি যখন খেতে যেতে চাইবেন না তখন ই আপনি বুঝবেন আপনি আপনি দক্ষ হচ্ছেন।(না খেয়ে থাকা যাবে না কিন্তু, আমি শুধু উদাহারন দিচ্ছি)। আপনি প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন এখন গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে গিয়ে আর আড্ডা দিতে ইচ্ছা করে না, শুধু আইডিয়া মাথায় ঘুরে আর চিন্তা করতে হয় এটা কিভাবে করা যাবে। কখন করা যাবে আর ফেসবুক এ কখন দিব আর স্যার, ক্লাসম্যাট আর বন্ধুরা কি বলবে। আর এরকম যখন হবে তখন আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন আর দক্ষ হলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
পয়েন্ট আকারে কিছু টিপস দিচ্ছি
১. ক্লাসগুলো মনোযোগ দিয়ে করেন। প্রথমে আউটসোর্সিং এর কথা মাথায় আনার দরকার ই নাই। যখন আনার প্রয়োজন হবে শিক্ষক আপনাকে বলবে।
২. ক্লাস এ প্রোজেক্ট দেয়া হয় সেগুলি করেন। একটা করলেন। পারলেন। তারপর মনে করলেন আমি পারি এরকম না। অনুশীলন করতে ই থাকবেন। একটার পর একটা এরকম ভাবে।
৩. দুই একটা কাজ করে ই মার্কেটপ্লেস এ যাওয়ার কথা চিন্তা করার দরকার নাই, তাতে হতাশা বাড়বে, আর বুঝার জন্য যদি যেতে চান তাহলে আশা না করে ই যাওয়া ভাল। শুধু অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
৪. অন্যদের ভাল ডিজাইন দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। মনে রাখবেন তারা একদিনে সে জায়গায় যায় নাই। সময় লেগেছে। তাই আপনি ও সময় দেন।
৫. সমালোচনা গ্রহন করতে হবে। সুন্দর ভাবে গ্রহন করতে হবে। রেগে গেলে চলবে না। অবশ্যই সেই ডিজাইন এর মধ্যে আপনার নিজের কিছু যুক্তি থাকতে পারে সেটা ভাল করে বুঝিয়ে বলুন। কিন্তু আমার ডিজাইন খারাপ হবে না, কেউ আমার ডিজাইন এর ভুল ধরতে পারবে না। এরকম চিন্তা করলে সফলতার কাছে যেতে পারবেন না।
৬. প্রথমে নিজে থেকে ডিজাইন করতে যাবেন না। আগে দেখে নিবেন যে ডিজাইন করছেন সেগুলি অন্যরা কিভাবে করে। ধরনটা কিরকম। কিভাবে কালার ব্যবহার করা হয়েছে। কি ধরনের ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। একটা ডিজাইন এ কয়টা ফন্ট আর কালার ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদের ডিজাইন থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে ডিজাইন করুন।