বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ উপার্জিত হওয়ার ধারণার প্রতি সর্বদা আমার বিশেষ আকর্ষণ ছিল। কেন জানি, বিভিন্ন লোকের বৈধভাবে অনেক অর্থ উপার্জনের কথা শুনে আমার চোখ উজ্জ্বল হয় এবং আমি ভাবি এটি “দুর্দান্ত ধারণা!”। আমার মনে হয় ঐ লোকের মত যদি আমার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতাম!
অনেকের কাছে উচ্চ বেতনের চাকুরী করা একটি দুর্দান্ত ধারণা। কিন্তু আমি মনে করি এতে আমি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে এবং অনেক ধনী হতে পারব না। এটা মনে করে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করেছি –”কোন সম্পদগুলো মানুষকে ধনী করে? এর ফলাফল হিসেবে বলতে পারি ২০টি সম্পদ মানুষকে অর্থ দেবে এবং ধনী হতে সাহায্য করবে।
২। স্টক
৩। ভূমি ও বাড়ি
৪। মিডিয়া ব্র্যান্ড বা সেলেব্রিটি
৫। ডিজিটাল প্রডাক্ট যেমন অনলাইন কোর্স, ব্লগ, ইবুক, ভিডিও, পডকাস্টিং ইত্যাদি
৬। সম্ভাবনাময় একক মালিকানাধীন ব্যবসার মডেল
৭। রয়্যাল্টি অথবা বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি (Intellectual Property)
৯। কপিরাইট
১১। টাইম আর্বিট্রেজ (Money-Time- Money)
১২। দক্ষ মানুষ
১৩। ফ্র্যাঞ্চাইজি
১৪। বিরল ধাতবমূদ্রা ও শিল্পকর্ম
১৫। দামী ধাতব পদার্থ যেমন সোনা, প্ল্যাটিনাম, রূপা ইত্যাদি
১৬। মিউচুয়াল ফান্ড
১৭। বন্ড
১৮। যন্ত্রপাতি
১৯। খামার জমি
২০। বিশাল নেটওয়ার্ক
যে সম্পদগুলো মানুষকে ধনী করে সেগুলো বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করছি।
১। স্কেলেবল ব্যবসা
যাঁরা নিজের চেষ্টায় অতি ধনী হয়েছেন, তাঁদের প্রায় ৮৫% ই উদ্যোক্তা। যখন ব্যবসা শুরু করার কথা আসে তখন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসে। প্রথমটি উদ্ভাবনী ধারণা, দ্বিতীয়টি টিম এবং তৃতীয়টি হল বাজার।
যে ব্যবসার বাজার যত বড়, সে ব্যবসা তত দ্রুত বর্ধমান, বড় ও লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। যেমন অ্যামাজন একটি উচ্চ স্কেলেবল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ।
এর সঙ্গে সহায়ক ব্লগ: কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
২।স্টক
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকে নিজের জন্য সত্যিকারের সম্পদ অর্জন এবং প্রজন্ম ধরে আপনার পরিবারের জন্য সম্পদ অর্জনের উপায় হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। আপনি এর মাধ্যমে ধনী হতে পারেন, তবে আপনাকে বড় ঝুঁকি নিতে হবে এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।
একটি উদাহরণ দিই। ১৯৮০ সালে অ্যাপল পাবলিক হয়, প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২২ডলার। আপনি যদি ৫,000 ডলার বিনিয়োগ করতেন এবং এটি আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত ধরে রাখতেন। তখন ২২৭ টি শেয়ার কিনতে পারতেন। ২০১৮ এর মধ্যে, অ্যাপল তার ব্যবসায়িক মডেলটি কয়েকবার পরিবর্তন করার পরে, আপনার কোম্পানিতে ১২,৭১২ শেয়ার থাকত। আপনার প্রাথমিক ৫,000 ডলারের বিনিয়োগটি ৩৮ বছরে ২,৮৯৩,৬৩২.৫৬ ডলারে উন্নীত হত।
কিন্তু মানুষ কীভাবে শেয়ার থেকে সমৃদ্ধ হয়, যখন শেয়ার বাজার এতটাই উদ্বায়ী (Volatile) হয়?
শেয়ার বাজার থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য কয়েকটি জিনিস আপনি মনে রাখতে পারেন।
- স্টক মার্কেটটি ভালভাবে বুঝুন
- বিনিয়োগের জন্য বাজেট ঠিক করুন
- যে কোম্পানীতে বিনিয়োগ করবেন, সেই কোম্পানীর প্রোফাইল ভালভাবে দেখুন
- শেয়ার কিনুন এবং ধরে রাখুন
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে খুঁটি নাটি জানতে বিনিয়োগের গুরু বেনজামিন গ্রাহামের ‘Intelligence Investment’ বইটি পড়তে পারেন।
৩।ভূমি ও বাড়ি
এক সময় যাদের ভূমির পরিমাণ যত বেশি ছিল, তারা তত ধনী ছিলেন। বর্তমানে এর রূপ পরিবর্তন হয়েছে। যারা প্রযুক্তিতে দক্ষ উদ্যোক্তা, তারা বেশি ধনী। তারপরও ভূমি ও বাড়ি থেকে উপার্জন কম না। জায়গা অনুসারে উপার্জন পরিবর্তন হতে পারে। যেখানে চাহিদা বেশি আছে এমন জায়গায় জমি কিনে উন্নয়ন করলে অনেক উপার্জন করা সম্ভব।
৪।মিডিয়া ব্র্যান্ড বা সেলেব্রিটি
নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য প্রতিভার মাধ্যমে অনেকে বিখ্যাত হয়েছেন। কেউ বিখ্যাত হয়েছেন অভিনয় করে, কেউ হয়েছেন খেলার মাধ্যমে, কেউ হয়েছেন সিনেমা তৈরি করে, কেউ হয়েছেন ভিডিও তৈরি করে আবার কেউ বিখ্যাত হয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান হোস্ট করে। বিখ্যাত বা সেলেব্রিটি হওয়ার কারণে তারা অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন এবং ধনী হয়েছেন।
সেলেব্রিটি হওয়ার জন্য অপরাহ উইনফ্রে বিলিয়নার হয়েছেন। ২০২০ সালে জর্জ লুকাস সেলেব্রিটিদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। শাহরুখ খান মিলিয়নার হয়েছেন ভাল অভিনয়ের করার জন্য। ড্যানিয়েল মিডলটন মিলিয়নার হয়েছেন ইউটিউব চ্যানেলের জন্য।
৫। ডিজিটাল প্রডাক্ট যেমন অনলাইন কোর্স, ব্লগ, ইবুক, ভিডিও, পডকাস্টিং ইত্যাদি
অনলাইন কোর্স তৈরি এবং বিক্রয় আন্তর্জাতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ২০১৫ সালে এর বাজার মূল্য ছিল ১০৭ বিলিয়ন ডলার, ২০১৮ সালে ১৯০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরিয়ানা হাফিংটন এই মুহূর্তে (সেপ্টেম্বর ২০২০) বিশ্বের ধনী ব্লগার। হাফিংটন পোস্ট এই মুহূর্তে একটি ব্লগের চেয়ে অনেক বেশি। ব্লগটির এখন মাসিক আয় ২.৩ মিলিয়ন ডলার।
৬।সম্ভাবনাময় একক মালিকানাধীন ব্যবসার মডেল
একটি বড় সমস্যার সমাধান করে এবং অনেক মানুষের কাজে লাগে এমন ব্যবসার ধারণা তৈরি করে অনেক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমে একটি ব্যবসার ধারণা তৈরি করতে হবে। তারপর ধারণাটিকে উন্নত করতে হবে। উন্নত ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি উন্নত প্রোটোটাইপ তৈরি করতে হবে। বার বার চেষ্টার করার মাধ্যমে প্রোটোটাইপ আরো উন্নত করার পর একটি ভালমানের ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেলে এর একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হবে। যদি ব্যবসার মডেল ঠিকমত উপস্থাপন করা যায়, তাহলে একজন বিনিয়োগকারী খোঁজে পাওয়া সম্ভব। এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে উন্নয়ন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অনেক টাকার মালিক হতে পারেন।
এর সঙ্গে সহায়ক ব্লগ: কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
৭। রয়্যাল্টি অথবা বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি (Intellectual Property)
কাউকে আপনার সম্পত্তি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া থেকে প্রাপ্ত আয়কে রয়্যালটি ইনকাম বলে। সম্পত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জিত রাজস্বের শতাংশ হিসাবে প্রায়ই অর্থ প্রদান করা হয়।
গানের ক্ষেত্রে রয়্যাল্টি গীতিকারের পুরো জীবন এবং তাদের প্রয়াত হওয়ার পরে আরও ৭০ বছর স্থায়ী হয়। এর ফলে ১০০ বছরেরও বেশি রয়্যাল্টি হতে পারে। এ কারণেই কিছু গীতিকারের কাছে একটি দুর্দান্ত হিট গান রয়েছে এবং তারা ক্রমাগত উপার্জনযোগ্য রয়্যাল্টিগুলি তাদের জীবনভর ছড়িয়ে দিতে পারে।
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফ্ট হিউলেট প্যাকার্ড (HP) এবং ডেলের মতো কম্পিউটার নির্মাতাদের পাশাপাশি স্যামসাংয়ের মতো স্মার্টফোন নির্মাতাদের কাছ থেকে রয়্যাল্টি অর্জন করে।
৮।পেটেন্ট ও ট্রেডমার্ক
পেটেন্টগুলি বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি। পেটেন্ট এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে ব্যবসায়ের বাজার মূলধনের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট এবং অন্যান্য বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি থেকে আসে।
মাইক্রোসফ্ট AOL থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ৮০০ পেটেন্ট নিয়েছে। পরিবর্তে, মাইক্রোসফ্ট ফেসবুকের কাছে ৫৫০ মিলিয়ন ডলারে ৭০ শতাংশই বিক্রি করেছে।
আপনি যদি উদ্ভাবনী হন, তাহলে নতুন নতুন আবিষ্কার করে আপনার আবিষ্কারগুলিকে পেটেন্ট করে ভাল পরিমাণ উপার্জন করতে পারেন।
৯।কপিরাইট
আপনার নিজ কাজ করতে গিয়ে আপনি শব্দ, চিত্র বা ভিডিও তৈরি করেছেন। এগুলি সমস্ত কপিরাইটযুক্ত হতে পারে। এগুলিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন। আপনার প্যাসিভ আয়ের একটি উৎস হল আপনার ডিজিটাল কাজগুলির কপিরাইট করা।
১০।ব্র্যান্ড ও গুডউইল
ব্র্যান্ড এমন একটি পণ্য, পরিষেবা বা ধারণা যা অন্যান্য পণ্য, পরিষেবা বা ধারণা থেকে আলাদা এবং যাকে সহজে যোগাযোগ করা যায় এবং বিপণন করা যায়। একটি ব্র্যান্ড নাম হল স্বতন্ত্র পণ্য, পরিষেবা বা ধারণার নাম। ব্র্যান্ডিং হল ব্র্যান্ডের নাম তৈরি এবং প্রচারের প্রক্রিয়া। একটি উত্তম ব্র্যান্ডের উদাহরণ হল কোকাকোলা।
গুডউইল হল একটি কোম্পানীর জন্য বুদ্ধিদীপ্ত সম্পত্তি। একটি কোম্পানীর গুডউইল যত ভাল, মূ্ল্য তত বেশি।
সুতরাং কোম্পানীর ব্র্যান্ড ও গুডউইল তৈরি করার মাধ্যমে অনেক উপার্জন করা যায়।
১১। টাইম আর্বিট্রেজ (Money-Time- Money)
একজন মানুষ দিনে ৮-১২ ঘন্টা কাজ করতে পারেন। কিন্তু টাকা বিনিয়োগ করে দিনে ১০০০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন। এর জন্য গড় ১০০ জন লোক নিয়োগ করতে হবে। সুতরাং ১০০ জন লোকের সময় ক্রয় করে বেশি কাজ করার মাধ্যমে বেশি উপার্জন করা যায়।
বর্তমানের (২০২০ সাল) সেরা ধনী জেফ বেজসের মোট কর্মী ৮ লক্ষ। সুতরাং প্রতিদিন তিনি গড়ে ৬৪ লক্ষ ঘন্টা কাজ করছেন।
১২। দক্ষ মানুষ
দক্ষ মানুষ অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। একজন ব্যক্তি তার অধীনে যত দক্ষ মানুষ তৈরি করতে পারবেন, তিনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন। আমরা সবাই জানি- যে প্রতিষ্ঠানের যত বেশি দক্ষ মানুষ আছে , সে প্রতিষ্ঠান তত ধনী। দক্ষ মানুষের চাহিদা সব সময়। বর্তমানে প্রযুক্তিতে দক্ষ মানুষের চাহিদা সব চেয়ে বেশি।
দক্ষ মানুষদের নিয়ে সব চেয়ে বড় নেটওয়ার্ক হল লিঙ্কডইন। দক্ষ মানুষের চাহিদার কারণে লিঙ্কডইন ক্রমান্বয়ে আরো বড় হচ্ছে।
১৩। ফ্র্যাঞ্চাইজি
একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কোন বিনিয়োগকারীকে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম করে। এটি এক ধরণের লাইসেন্স। বিশ্বে শীর্ষ দশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে একটি হল ম্যাকডোনাল্ডস । এরকম শীর্ষ কোম্পানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রয় করে একজন ব্যক্তি ধনী হতে পারেন।
১৪। বিরল ধাতবমূদ্রা ও শিল্পকর্ম
কিছু কিছু বিরল ধাতবমূদ্রার দাম এত বেশি যে এদের একটি বিক্রি করে আপনি মিলিয়নার হয়ে যেতে পারেন। যেমন ১৭৯৪ প্রবাহিত চুল রৌপ্য আমেরিকান ডলার ধাতবমূদ্রা (Flowing Hair Silver Dollar, struck in 1794)। এর মূল্য ১০,০১৬,৮৭৫ ডলার।
২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে নিউইয়র্ক আমেরিকানা বিক্রয় নিলাম সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি হয় । এই মুদ্রা একটি একক মুদ্রা বিক্রয়ের জন্য বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনালিসা একটি চিত্রকলার জন্য সর্বাধিক বীমা মূল্য হিসাবে তালিকাবদ্ধ করেছে। প্যারিসের লুভরে স্থায়ী প্রদর্শনীতে, মোনালিসার মূল্যায়ন হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর, ১৯২২ সালে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ১৯২২ সালে ২০২০ সালের মধ্যে ৮৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে।
১৫। দামী ধাতব পদার্থ যেমন, রোডিয়াম প্ল্যাটিনাম, সোনা ইত্যাদি
পৃথিবীতে অনেক মূল্যবান ধাতু রয়েছে। এগুলির মধ্যে রোডিয়াম বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ধাতু। এটি স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী, প্রতিফলিত পৃষ্ঠের জন্য গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
প্ল্যাটিনাম সর্বাধিক ব্যবহৃত মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি। এটি সোনার ক্যারাটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ওজনের যা এটিকে সবচেয়ে ভারী মূল্যবান ধাতু হিসাবে তৈরি করে।
১৬। মিউচুয়াল ফান্ড
মিউচুয়াল ফান্ড হচ্ছে এক প্রকার বিনিয়োগ। এর মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপক অনেক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং এই অর্থ স্টক, বন্ড এবং স্বল্প-মেয়াদী ঋণপত্রের মতো সিকিওরিটিতে বিনিয়োগ করে। প্রতি ইউনিটের বিনিয়োগকারী এর মালিকানার অংশ এবং সে অনুসারে আয় পেয়ে থাকে । আমাদের দেশে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ একটি কর মুক্ত বিনিয়োগ।
১৭। বন্ড
বন্ড একটি চুক্তিভিত্তিক সম্মতিপত্র। এই চুক্তি ইস্যুয়ার ও বন্ড ক্রয়কারীর মধ্যে হয়ে থাকে। এর উপর বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ পেয়ে থাকেন। কোম্পানি , আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকার, সরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার বন্ড ইস্যু করে থাকে।
গতানুগতিক বন্ড এর ক্ষেত্রে সুদের হার স্থায়ী থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ প্রদান করা হয়।
শূন্য কুপন বন্ড এর ক্ষেত্রে সুদের হারের উপর ভিত্তি করে বন্ড ইস্যু করে থাকে। মেয়াদ শেষে সুদ সহ আসল প্রদান করা হয়।
১৮। যন্ত্রপাতি
সরঞ্জাম ভাড়া শিল্প বাড়ছে। লাভজনক ব্যবসা করার জন্য এটি আপনার সুযোগ হতে পারে।
ভারী সরঞ্জাম, কৃষি যন্ত্রপাতি ও পরিবহনের যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে আপনি প্রচুর পরিমাণ উপার্জন করতে পারেন।
১৯। খামার জমি
আপনার যদি যথেষ্ঠ পরিমাণ খামার জমি থাকে, তাহলে অনেকভাবে এটা থেকে উপার্জন করতে পারেন।
- অন্যের কাছে লিজ দিয়ে
- একটি কমিউনিটি বাগান নির্মাণ করে
- ইনডোর বা আউটডোর স্টোরেজ অফার করে
- পশুর খামার তৈরি করে
- আউটডোর ফিটনেস বা সুস্থতা ক্লাস অফার করে
- আপনার জমিতে কাঠ জাতীয় গাছ লাগিয়ে
- রিসোর্ট তৈরি করে
- বিনোদনের পার্ক তৈরি করে
২০। বিশাল নেটওয়ার্ক
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে আপনার নেটওয়ার্কের আকার এবং শক্তি সরাসরি আপনার স্বাস্থ্য, সুখ এবং আয়ের সুযোগগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি প্রকৃত তথ্য হল-আপনার বেশি উপার্জনের পথ সহজ হবে যদি আপনি অন্যান্য লোকের সাথে সামাজিক এবং পেশাদার সংযোগ তৈরি করেন। সুতরাং কিছু সহজ পদক্ষেপ আপনার নেটওয়ার্ক এবং আপনার উপার্জনের শক্তি উন্নত করতে পারে।
- মনকে প্রসারিত করুন
- অনেক মানুষের উপকার করুন এবং প্রত্যাবর্তনে কিছুই আশা করবেন না
- সম্পর্ককে অর্থবহ করুন
- স্বচ্ছতার উপর ফোকাস করুন
- নিশ্চিত করুন যে আপনার সংযোগগুলি আপনার পক্ষে মূল্যবান
- প্রশংসা প্রদর্শন করুন
উপসংহার
অনেক টাকা উপার্জন করে ধনী হতে হলে আগে বুঝতে হবে কোন উৎসগুলো থেকে টাকা আসে। সে অনুসারে মনস্থির করতে হবে। এর জন্য দরকার স্বপ্ন আর ডেডিকেশন ।
টাকা উপার্জন সংক্রান্ত অন্যান্য ব্লগ:
টাকা ছাড়া শুরু করে কীভাবে ধনী হওয়া যায়?
টাকার অভাব কখনও হবে না যদি এ শিক্ষা থাকে
কীভাবে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে আপনি ধনী হবেন?
কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
যে দক্ষতা গুলো আপনাকে ধনী করবে।
১০টি সেরা বই, যেগুলো আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে।
গ্রামে বসে কী কী ব্যবসা করা যায়?