কীভাবে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে আপনি ধনী হবেন?

অনেকে মনে করেন নিজের চেষ্টায় ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হওয়া একটি কাল্পনিক বিষয়। আসলে বিষয়টি কাল্পনিক নয়। যদি প্রচন্ড ইচ্ছা থাকে আর যথার্থ চেষ্টা করা হয়, তাহলে টাকা ছাড়া শুরু করে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী অথবা অতি ধনী হওয়া যায়। এর অনেক উদাহরণ বর্তমানে রয়েছে।

এই লেখায় আমি তিনটি উদাহরণ উল্লেখ করছি। এখানে তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নিজের চেষ্টায় ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হওয়ার বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।      

উদাহরণ#১:

জাভেদ করিম ২৭ বছর বয়সে ১টি ওয়েবসাইট বানিয়ে ১বছরের মধ্যে ৬৪ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছিলেন।

জাভেদ করিম একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তার বাবা বাংলাদেশী ও মা জার্মান নাগরিক।

১৯৮২ সালে ৩ বছর বয়সে জাভেদ বাবা- মার সাথে জার্মান থেকে আমেরিকায় যান। তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার আগেই PayPal এ চাকুরী পান। সেখানে হার্লি ও চেন এর সাথে পরিচয় হয়।

২০০৪ সালে PayPal বিক্রি হয় Yahoo এর কাছে। ফলে তারা তিনজনই চাকুরী হারান। তারা তিনজন মিলে ভিডিও শেয়ারিং ওয়েব সাইট তৈরি করার উদ্যোগ নেন। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তারা সাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন। সাইটটির নাম ছিল Youtube.com ।

এই সাইটটি তে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন জাভেদ। এটি একটি ইতিহাস। আমি যখন এই লেখা লিখছি, তখন ভিডিও টির ভিউ ১১০ মিলিয়নের বেশি।

২০০৫ সালে জাভেদ YouTube এ কাজের পাশাপাশি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতকোত্তরে পড়া-শোনা করছিলেন। সেজন্য YouTube এ তৃতীয় সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার অংশিদারিত্ব ছিল কম।

২০০৫ সালে YouTube বিক্রি হয় Google এর কাছে। এখান থেকে জাভেদ তার অংশিদারিত্ব হিসেবে ৬৪ মিলিয়ন ডলার পান। ফলে এক বছরের মধ্যে তিনি সাধারণ থেকে হয়ে যান ধনী।

উদাহরণ#২:

মার্ক জুকারবার্গ ২৩ বছর বয়সে বিলিয়নার হয়েছিলেন।

জুকারবার্গ কে সেটা মনে হয় বলার দরকার নেই। যারা ফেসবুক চিনে, তারা জুকারবার্গকে চিনে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি তিনি একজন বড় মাপের ইন্টারনেট উদ্যোক্তা, যার নেশা ও পেশা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। তিনি ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। তিনি একজন বিলিয়নার। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনীদের একজন তিনি। ২০০৭ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিলিয়নার হয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত এটা একটি রেকর্ড। এত কম বয়সে এর আগে কেউ বিলিয়ন ডলারের মালিক হতে পারেন নি।

জুকারবার্গের বয়স যখন ৬ বছর, তখন তার ডেন্টিস্ট বাবা প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখান। এরপর তাকে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপারকে গৃহ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে তার প্রোগ্রামিং এর উপর আরো আকর্ষণ বেড়ে যায়।

জুকারবার্গ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় কম্পিউটারের উপর একটি গ্রাজুয়েট কোর্স নেন। এ সময় ‘জুকনেট’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। এটি তার বাবার অফিসের কম্পিউটারের সাথে বাড়ির কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে।

স্কুলে পড়া অবস্থায় জুকারবার্গ কম্পিউটার গেমস তৈরি করেছিলেন। যে বয়সে শিশুরা কম্পিউটার গেমস খেলে, সে বয়সে তিনি কম্পিউটার গেমস তৈরি করতে পারতেন।

স্কুল পাশ করে জুকারবার্গ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এ ভর্তি হন। সেখানে এসেই ’কোর্সম্যাশ’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন। এটি বিভিন্ন ক্লাস সিলেকশনের জন্য ব্যবহার করত। এর কিছুদিন পরেই একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন। প্রোগ্রামটির নাম ’ফেসম্যাশ’। ’ফেসম্যাশ’ ব্যবহার করে হার্ভার্ড এর বন্ধুরা ছবি মেলানো নিয়ে মজা করত।

’ফেসম্যাশ’ এর পর জুকারবার্গ রুমমেটদের সঙ্গে নিয়ে একটি ওয়েব সাইট তৈরি করেন। ওয়েব সাইটটির নাম Face Books। এই সাইটটি এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে এক সপ্তাহের মধ্যে এর ধারণ ক্ষমতার বেশি ইউজার অংশ গ্রহন করে। ফলে, ডোর্ম কর্তৃপক্ষ সাইটটিকে বন্ধ করে দেয়। আবার অনেকে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল।

পরের সেমিস্টারে জুকারবার্গ সাইটটিকে পরিবর্তন করেন। এর নাম দেন Thefacebook.com। তখন ছিল ২০০৪ সালের জানুয়ারী মাস। ঐ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জুকারবার্গ সাইটটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ফেসবুক কে রক্ষা করতে গিয়ে তাকে হার্ভার্ড ছাড়তে হয়। পরবর্তীতে Thefacebook.com এর নাম পরিবর্তন করে facebook.com করা হয়। এ প্রজেক্টটিকে বাস্তবায়ন করতে তার স্কুলের চার বন্ধু যোগ দেয়।

সুতরাং প্রিয় পাঠক বোঝতেই পারছেন ফেসবুকের জন্য জুকারবার্গ কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ফেসবুক অতি দ্রুত তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর জনপ্রিয়তার কারণে জুকারবার্গ খুব দ্রুত ধনী হয়ে ওঠেন।     

উদাহরণ#৩:

বিলগেটস ২৯ বছর বয়সে বিলিয়নার হয়ে ছিলেন।

বিল গেটস একজন অতি বড় উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন অতি ধনী হিসাবে বেশি পরিচিত। তিনি ব্যক্তিগত কম্পিউটারের (PC) বিপ্লব তৈরি করেছেন। কম্পিউটার চালানোর জন্য অসাধারণ Windows অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছেন, যা সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। তাঁর তৈরি MS Office Program গুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়।      

বিল গেটস খুব ছোট বেলা থেকে কম্পিউটারের প্রতি আকর্ষিত হন। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি করেন। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি SAT তে ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ পান।

বিল গেটসের বাবা-মা তাঁকে আইনজীবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তাঁকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আইনে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু কম্পিউটারের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল বেশি।

বিল গেটস ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফ্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর সিনিয়র বন্ধু পল অ্যালেন। নিজের প্রতিষ্ঠান নিয়ে অত্যধিক ব্যস্ত থাকতে গিয়ে তিনি হার্ভার্ড থেকে ড্রপ আউট হন। বিল গেটস এর মেধা ও পরিশ্রমের কারণে মাইক্রোসফ্ট খুব দ্রুত প্রসার লাভ করতে থাকে। ১৯৮৫ সালে তাঁর মোট সম্পদ বিলিয়নার ডলার ছাড়িয়ে যায়। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৯ বছর।    

৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হওয়ার পদক্ষেপ:

উপরের তিনটি উদাহরণে ধনী হওয়ার যে সমস্ত বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলো নিশ্চয় আপনাকে দ্রুত ধনী হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।  

যদি আপনি চিন্তা করেন ৩০ বছর বয়সের মধ্যে অনেক টাকা উপার্জন করবেন। আপনি মিলিয়নার ও বিলিয়নার হওয়ার খ্যাতি অর্জন করবেন । ধনী হয়ে আপনি আর্থিক স্বাধীনতা লাভ করবেন। অনেক মানুষের উপকার করবেন। তাহলে আপনাকে ১৮-২০ বছর বয়স থেকে কাজ শুরু করতে হবে। সম্ভব হলে আরো আগে শুরু করতে পারেন। এজন্য নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

১।ধনী হওয়ার মাইন্ডসেট তৈরি করুন:

ধনী হওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ধনী হওয়ার মাইন্ডসেট তৈরি করা। এর জন্য নিচের কাজগুলো করতে পারেন:

  • আপনি যা চান তাতে মনোনিবেশ করুন
  • লক্ষ্য-ওরিয়েন্টেড হয়ে উঠুন
  • বড় বড় ভাবনা ভাবুন
  • মনোযোগকে উপভোগ করুন
  • কখনই শেখা থামাবেন না
  • আপনার অর্থ ব্যয় করবেন না – এটি বিনিয়োগ করুন

২।দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করুন:

আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা যদি আপনি না জানেন, তবে আপনি অন্য কোথাও পৌঁছে যেতে পারেন।

এই উক্তিটিকে আপনাকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।

যাই হোক, আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাটি তৈরি করার সময় নিম্নলিখিত পাঁচটি পদক্ষেপ বিবেচনা করুন: 

  • আপনার মিশন (Mission) লিখে রাখুন
  • আপনার ব্যবসায়ের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
  • বিস্তারিতভাবে কী (Key) কৌশলগুলো সনাক্ত করুন
  • চলমান ফলাফলগুলি পরিমাপ করুন
  • ইতিবাচক মনোভাব রাখুন

৩।দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন:

আপনি যদি নিজের স্বপ্ন উপলব্ধি করার জন্য সব সময় লড়াই করে চলেছেন, ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তবে এই ১০টি পয়েন্ট আপনাকে সঠিক দিকে নির্দেশনা দেবে:

  • আপনাকে অনুপ্রাণিত করে এমন লক্ষ্যগুলি বেছে নিন
  • সক্রিয় (Proactive) হউন
  • সকল নেতিবাচকতা বন্ধ করুন
  • ভারসাম্য বজায় রাখুন
  • একটি লক্ষ্য কতগুলো ধাপে ভাগ করুন, যাতে অর্জন করা সহজ হয়
  •  ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করুন
  • আপনার পরিকল্পনাগুলি কী এবং কীভাবে আপনি সেগুলি কার্যকর করতে চান সেগুলি আপনার  শুভাকাঙ্ক্ষীদের  বলুন।
  • অন্যের সহায়তা নিন
  • আপনার অগ্রগতির ট্র্যাক রাখুন
  • শেষ ফলাফলটি ভিজ্যুয়ালাইজ করুন

৪।ঝুঁকি গ্রহণ করুন:

একজন উদ্যোক্তার জন্য, ঝুঁকি নেওয়া বাধ্যতামূলক। যিনি যত বড় ঝুঁকি নিতে পারবেন, তিনি তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার ঝুঁকি গ্রহণের দক্ষতা অর্জনের জন্য, এখানে কয়েকটি গাইডলাইন রয়েছে:

  • যে কোনও বিষয়ে বেশি জ্ঞান অর্জন করুন
  • সাবধানে ঝুঁকির মূল্যায়ন করুন
  • ব্যর্থতা থেকে শিখুন

৫।একজন ভালো পরামর্শদাতা খুঁজে বের করুন:

পরামর্শদাতা আপনাকে ব্যবসায়ের সমস্যার সমাধান ও বুদ্ধিমত্তার বিকল্প সমাধান বের করতে সহায়তা করেন। একজন ভাল পরামর্শদাতা কিছু জ্ঞানের শূন্যস্থান পূরণ করেন এবং আপনার নেটওয়ার্ককে প্রশস্ত করতে সাহায্য করতে পারেন। সুতরাং, আপনি একটি ভাল পরামর্শদাতা খুঁজে বের করুন । এজন্য নিচের পদক্ষেপগুলো ‍নিতে পারেন।

  • পরামর্শের জন্য বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন
  • স্টার্টআপ অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের সন্ধান করুন
  • আপনার নেটওয়ার্ক এবং পেশাদার গ্রুপ ব্যবহার করুন
  • আপনার ক্ষেত্রের (Field) সেরাদের সন্ধান করুন
  • আপনার ব্যবসায়ের জন্য উপযুক্ত মনে করে এমন একটি ইনকিউবেশন প্রোগ্রামে যোগ দিন
  • অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো আপনাকে দুর্দান্ত সুযোগ দিতে পারে, যেমন লিঙ্কডইন, মাইক্রোমেন্টর।

৬।নিজেকে দক্ষ করে তৈরি করুন:

যে কোন কাজে শুরুতে আমাদের যে অবস্থা থাকে এবং একটা সময়ে সবচেয়ে ভাল যে অবস্থা তৈরি হয়- এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান পূরণকারী একটি কৌশলযুক্ত ছোট শব্দ কে “দক্ষতা” বলে।

আমাদের কাঁচা প্রতিভা বিকাশ এবং উন্নতি করতে আমরা যে সময় এবং প্রচেষ্টার জন্য নিজেকে বিনিয়োগ করি তার ফল হল দক্ষতা।

যে কোনও ক্ষেত্রে দক্ষ হওয়ার সূত্রটি বেশ সহজ, এবং এই তিনটি মূল কারণকে অন্তর্ভুক্ত করে:

  • আপনার আগ্রহের ক্ষেত্র যাই হোক না কেন অন্যরা কী করেছে তা অধ্যয়ন করে আপনার একটি  ভিত্তি তৈরি করুন।
  • আপনি যে দক্ষতা এবং সক্ষমতা অর্জন করেছেন কেবল সেগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত করুন।
  • আপনি দক্ষতা বিকাশের মৌলিক নীতিগুলি অনুসরণ করুন এবং যথার্থ সময় দিন।

৭।নিজের ১টি স্টার্টআপ তৈরি করুন:

নিজের চেষ্টায় ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হওয়ার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম হল নিজের ১টি স্টার্টআপ তৈরি করা। আপনি একটি তথ্য হয়ত জানেন- যে সমস্ত স্টার্টআপ তৈরি হয়, তার শতকরা মাত্র ৫% সফল হয়। তাহলে আপনি কোন ধরনের স্টার্টআপ তৈরি করবেন?

যে সমস্ত স্টার্টআপ সফল হয়েছে সে গুলোর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমি অনেক গবেষণা করেছি। সে ব্যাপারে আমার যে সামান্য ধারণা হয়েছে তা শেয়ার করতে চাই। এমন ধরনের স্টার্টআপ তৈরি করুন যেটা অনেক মানুষের কাজে লাগবে এবং অনেক মানুষ পছন্দ করবে। এমন ধারণা নিয়ে দিন-রাত লেগে থাকুন। আর যদি ধারণাটি আপনার খুব ভালো লাগে, তাহলে আপনি এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন । খুব ভালো লাগা বলতে আপনি মন থেকে পছন্দ করেন। দিন-রাত এ কাজ করলে আপনার কাছে কোন বিরক্ত লাগবে না। অর্থাৎ কাজটির সাথে আপনার প্যাশন মিল রয়েছে।

এ বিষয়ে দার্শনিক কনফুসিয়াস বলেছেন,

“আপনি পছন্দ করেন এমন কাজ খোঁজে বের করুন, আপনার বাকি জীবনে আর কোন কাজ করতে হবে না।”

এরপর আসি, আপনার ভালো লাগা কাজে আপনার কোন দক্ষতা আছে কি না? যদি আপনার কিছু দক্ষতা থাকে, তো খুব ভালো। আর যদি দক্ষতা না থাকে, তাহলে অর্জন করুন। এছাড়া স্টার্টআপের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য দক্ষতা গুলো একের পর এক অর্জন করুন। আপনার স্টার্টআপ কে আপনার সন্তানের মত যত্ন করুন, আগলে রাখুন এবং ধীরে ধীরে বড় করুন।

স্টার্টআপ সম্পর্কিত এই ব্লগটি পড়তে পারেন।

 কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?

নিজের চেষ্টায় ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ধনী হওয়ার জন্য পদক্ষেপ গুলো একটি ইনফোগ্রাফের মাধ্যমে দেখানো হল:

উপসংহার:

জীবনের বড় ধরনের পরিবর্তন রাতারাতি ঘটবে না। এটি প্রতিটি ধাপে ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটবে। এর জন্য যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখতে হবে ’কর্ম সাফল্যের মূল চাবিকাঠি’

ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থা সম্পর্কেও আপনাকে শিখতে হবে। আপনি যদি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চান তবে সেই জ্ঞানটি গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পদ গড়ে তোলে ধনী অথবা অতি ধনী হওয়া এমন কিছু নয়, যা আপনি কেবল একটি ছোট্ট দূর্ঘটনায় সব হারিয়ে ফেলবেন । এটি এমন কিছু যা আপনি ধীরে ধীরে অর্জন করবেন এবং বংশানুক্রমিক টিকে থাকবে।


টাকা উপার্জন সংক্রান্ত অন্যান্য ব্লগ:

ধনী হওয়ার তিনটি সরল নিয়ম

অনলাইনে উপার্জনের কিছু পদ্ধতি

টাকার অভাব কখনও হবে না যদি এ শিক্ষা থাকে

টাকা ছাড়া শুরু করে কীভাবে ধনী হওয়া যায়?

কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?

কোন সম্পদগুলো মানুষকে ধনী করে?

যে দক্ষতা গুলো আপনাকে ধনী করবে।

কীভাবে চল্লিশে কোটিপতি হবেন?

১০টি সেরা বই, যেগুলো আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে।

গ্রামে বসে কী কী ব্যবসা করা যায়?


Leave a Reply

Scroll to Top