ধনী হওয়ার জন্য কত জন কত ভাবে চেষ্টা করছেন। অনেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে বৈধভাবে চেষ্টা করছেন । যেমন- বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে তিনি অনেক উপার্জন করেছেন। বিলিয়নার ইলন মাস্ক জ্ঞান অর্জন করে ZIP2 এর মত সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান তৈরি করে খুব দ্রুত অনেক অর্থের মালিক হয়েছেন । উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে টেসলা ও স্পেস এক্স এর মত বিলিয়ন ডলারের কোম্পানী তৈরি করেছেন।
আবার অনেকে সঠিক জ্ঞানের অভাবে অবৈধভাবে চেষ্টা করছেন। এটা করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন। যেমন- মাদক ব্যবসা, চোরা কারবারি, টেন্ডার বাজি, জুয়া খেলা, ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইল ইত্যাদি। এরজন্য পরিবারে ও সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রাষ্ট্রের ও ধর্মের নিয়ম লঙ্ঘিত হয়।
কেউ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে বিভিন্ন ধাপে নিজেকে উন্নত করে অর্থ উপার্জন করছেন। অন্যদিকে কিছু লোক সংক্ষিপ্ত পথে অর্থ উপার্জনের জন্য সংক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করছেন। প্রথমটি টেকসই হয় কিন্তু দ্বিতীয়টি হয় না।
জীবনে সত্যিকারে আর্থিক ফ্রিডম বা স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে ধনী হতে হবে। ধনী হতে না পারলে উন্নত জীবন যাপন করা যায় না। এছাড়া অনেক মানুষকে সাহায্য করার জন্যও ধনী হতে হবে।
কিন্তু ধনী হতে কোন সংক্ষিপ্ত পথ নেই। এটা জ্ঞানী- গুনীরা বলেছেন। এর জন্য পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হয়। নিচে ধনী হওয়ার তিনটি সরল নিয়ম উল্লেখ করা হল:
ধনী হওয়ার তিনটি সরল নিয়ম বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হল:
১। কীভাবে বেশি আয় বাড়ানো যায়?
আয় বাড়ানোর জন্য নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে পরিশ্রম করতে হবে। কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, তার ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১.১ । লক্ষ্য স্থির করুন:
আয় বাড়ানোর জন্য আপনাকে আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আপনাকে আগে জানতে হবে, কোন কাজ আপনার ভালো লাগে। চাকরি বা ব্যবসা যেটা ভালো লাগে তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনাকে আপনার কাজে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
জ্ঞান অর্জনের অনেক উপায় আছে। কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে করতে পারেন। সম্ভব না হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অথবা বই পড়ে করতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিক সনদ থাকতে হবে তার কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। জ্ঞান অর্জনই হল আসল কথা। আপনি যে লক্ষ্য স্থির করেছেন তার উপর কিছুটা হলেও জ্ঞান অর্জন করুন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখুন।
১.২। যা পারেন শুরু করুন:
অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য আপনার পছন্দের কাজ শুরু করুন যেমন- ধরুন ইন্টারনেট মার্কেটিং, ওয়েবসাইট তৈরি করা, ব্লগ লেখা, অনলাইন বিপণন ইত্যাদি।
সহায়ক ব্লগ: অনলাইনে উপার্জনের কিছু পদ্ধতি
ভালো সুযোগ না থাকলে কোথাও শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন। কাজে কোন অবহেলা করবেন না। আপনার একাগ্রতা থাকলে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শিখতে পারবেন।
যেকোন কাজ শিখতে গিয়ে শুরুতে আপনার কঠিন লাগতে পারে। লেগে থাকলে আস্তে আস্তে তা সহজ হয়ে যাবে।
জাপানিরা কাজকে ধর্মের সমতুল্য মনে করেন।
১.৩। দক্ষতা বাড়ান:
কাজ শিখতে পারলে আপনার ভালো লাগবে। দিনে দিনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি যত দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন, আপনার উপার্জন তত বেশি হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ক্রেতার কাছে আপনি ভ্যালু (Value) এর বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন। আপনি যত পরিমান ভ্যালু তৈরি করবেন, তত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সহায়ক ব্লগ: যে দক্ষতা যেগুলো আপনাকে ধনী করবে।
১.৪। শেখা বন্ধ করবেন না
একাধিক আয়ের উৎস খোঁজে বের করতে হবে। এরজন্যও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান অর্জন কে থামানো যাবে না। যখনই শেখা বন্ধ করবেন তখন থেকেই আপনার অবনতি শুরু হবে।
সহায়ক ব্লগ: কোন সম্পদগুলো মানুষকে ধনী করে?
১.৫। বড় স্বপ্ন দেখুন:
বেশি উপার্জনের জন্য নিজের একটি বড় স্বপ্ন ধারণ করতে হবে। পথে অনেক বাধা বিপত্তি, ঘাত-প্রতিঘাত আসবে। একটি বড় স্বপ্ন সব বাধা কে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। যত বড় স্বপ্ন দেখবেন, আপনি তত বড় হতে পারবেন।
একটি কথা আছে, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’।
১.৬। সৎ থাকুন:
কিছু মৌলিক গুণ অর্জন করতে হবে। যেমন প্রতি মুহূর্তে অন্যের ও নিজের কাছে সৎ থাকতে হবে। প্রথমটি অনেস্টি (Honesty) আর দ্বিতীয়টি ইনটেগ্রিটি (Integrity) । এটা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিশ্রুতি রক্ষা (Commitment) করতে হবে। নিয়মানুবর্তী (Disciplined), অধ্যবসায়ী হতে হবে এবং মনে বড় আশা থাকতে হবে।
অ্যান্ড্রু কার্নেগি (Andrew Carnegie) এক সময় আমেরিকার সেরা ধনী হয়ে ছিলেন। লেখক নেপোলিয়ন হিল তাঁর বিখ্যাত বই ‘থিঙ্ক এ্যাণ্ড গ্রো রিচ’ এ বর্ণনা করেছেন অ্যান্ড্রু কার্নেগি তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন স্টিল ইন্ডাস্ট্রির একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে। তাঁর কর্ম দক্ষতা ও সততার গুণে এক সময় ঐ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হয়ে ছিলেন। আপনি ‘থিঙ্ক এ্যাণ্ড গ্রো রিচ’ বইটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।
১.৭। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করুন:
চাকরির চেয়ে ব্যবসা করে বেশি উপার্জন করা যায়। বিখ্যাত অনুপ্রেরণাদায়ক প্রশিক্ষক ব্রেইন টাসি বলেছেন,
বিংশ শতাব্দীতে নিজের চেষ্টায় ধনী ব্যক্তিদের ৭৪%-ই ধনী হয়েছেন ব্যবসা করে।
চাকরি করে বেশি ভ্যালু তৈরি করা সম্ভব নয়। এর জন্য সেরা মাধ্যম হল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যত স্কেলেবল (Scalable) হবে, আপনি তত বেশি ভ্যালু তৈরি করতে পারবেন।
সহায়ক ব্লগ: কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
১.৮। একাধিক প্যাসিভ ইনকামের উৎস বের করুন:
প্যাসিভ ইনকামের উৎস খোঁজে বের করতে হবে। প্যাসিভ ইনকাম হল এক ধরনের উপার্জন, যার জন্য আপনাকে সব সময় কাজ করতে হবে না। আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন তখনও আয় আসতে থাকবে। আপনি ভ্রমণে আছেন, অথচ আপনার তখনও উপার্জন হবে। যেমন- ধরুন বই লেখার মাধ্যমে যে আয় হয় তা হল প্যাসিভ ইনকাম।
২। ব্যয় কমানো যায় কীভাবে?
ব্যয় কমাতে পারলে কিছু সঞ্চয় করা যায়। এর জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারেন।
২.১। মিতব্যয়ী হওয়া:
মিতব্যয়ী ভাবে জীবন যাপন করে দৈনিক খরচ কমানো যায়। এর জন্য সঠিক হিসেব থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে পারেন। খরচ কমিয়ে টাকা জমানোর কৌশলগুলো ভালোভাবে শিখতে হবে। ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বই, ‘আ’ইয়াল টিস ইউ টু বি রিচ’ এ লেখক রমিথ সেঠী খরচের একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন।
খরচের ধরণ | মোট উপার্জনের শতাংশ |
স্থায়ী খরচ | ৬০% |
সঞ্চয় | ১০% |
বিনিয়োগ | ১০% |
অন্যন্য খরচ | ২০% |
জনাব সেঠী আরো বলেছেন, খরচ কমানো কে অপটিমাইজ (অনুকূলিতকরণ) করতে হলে ৮০/২০ ফর্মুলা মেনে চলতে পারেন।
তিনি আরো বলেছেন, খরচ কমানোর জন্য খাম পদ্ধতি (Envelop System) ব্যবহার করা খুব উত্তম।
২.২। দায় বা লায়াবিলিটিস বোঝতে হবে:
বিখ্যাত আমেরিকান লেখক, ব্যক্তিগত অর্থ বিষয়ক প্রশিক্ষক ও উদ্যোক্তা রবার্ট কিয়োসাকি বলেছেন, খরচ কমানোর জন্য কোন খাত গুলো দায় বা লায়াবিলিটিস, সেগুলো ভালো ভাবে বোঝতে হবে। যে খাত গুলো পকেট থেকে টাকা নিয়ে যায়, সেগুলো দায় বা লায়াবিলিটিস। তাঁর মতে গাড়ি একটি দায়। ঋণ করে এ্যাপার্টমেন্ট কেনা একটি দায়। কারণ এগুলো খরচ বাড়ায়। একই ভাবে ক্রেডিট কার্ড একটি দায়।
২.৩। ঋণ না করা:
খরচ কমানোর জন্য ঋণ কে উৎসাহিত করা হয় না । যদি ঋণ থাকে তা দ্রুত পরিশোধ করে নতুন পরিকল্পনা অনুসারে চলতে হবে। আর একটি জরুরী বিষয় যদি আপনার ক্রেডিট কার্ড থাকে তাকে খুব শক্ত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
২.৪। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে:
খরচ কমানোর জন্য সিগারেট ও অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। কমদামি এ্যাপার্টমেন্ট, গাড়ি ব্যবহার করা উচিত। যারা ধনী হয়েছেন তাদের জীবনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা সবাই মিতব্যয়ী ছিলেন।
বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জনাব আকিজ উদ্দিন হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন। তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি হল-“মালিক হবে গরিব আর প্রতিষ্ঠান হবে ধনী।”
এক সময় (২০০৮ সাল) বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ছিলেন বিলিয়নার ওয়ারেন বাফেট। তিনি বলেছেন,
সাফল্যের সূত্র দুই টি:
প্রথমটি: কখনো টাকা নষ্ট করো না।
দ্বিতীয় টি: কখনোই প্রথমটি ভুলো না।
সম্পর্কিত নিবন্ধন: টাকার অভাব কখনও হবে না যদি এ শিক্ষা থাকে
৩। কোথায় ও কীভাবে বিনিয়োগ করা যায়?
অর্থ উপার্জন করে ও খরচ কমিয়ে কিছু সঞ্চয় হলে আপনাকে বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে। সবার আগে বিনিয়োগ বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। স্বপ্ল ও দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ থেকে যত রিটার্ণ আসবে আপনি তত ধনী হতে পারবেন ।
৩.১। টাকা তৈরির গোপন সূত্র:
বিনিয়োগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে টাকা থেকে টাকা উপার্জন করা যায়। টাকা দিয়ে অন্যের সময় ও শক্তি কেনা যায়। ফলে আপনি বেশি উপার্জন করতে পারছেন।
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী বিলিয়নার, বিনিয়োগকারী ও বিজনেস টাইকন ওয়ারেন বাফেট বিনিয়োগ কে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও দক্ষতা খুব প্রখর। তিনি মাত্র ১১বছর বয়সে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোকাকোলা বিক্রি করে যে টাকা উপার্জন করেন তা তিনি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন।
৩.২। ফাইন্যান্সিয়াল আইকিউ:
আমেরিকান লেখক রবার্ট কিয়োসাকির সুপরিচিত বই, ‘রিচ ড্যাড পু’র ড্যাড’ । এই বইয়ে লেখক ক্যাশ ফ্লো কোয়ার্ড্যান্ট সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
জনাব কিয়োসাকি বলেছেন, চারটি কোয়ার্ড্যান্ট এর মধ্যে চতুর্থটি হল বিনিয়োগকারী। ধনী হওয়ার সব চেয়ে উত্তম ধাপ। এখানে টাকা আপনার জন্য কাজ করবে। বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক, জ্যাক মা এ ধাপের অন্তর্ভুক্ত।
৩.৩। স্মার্ট বিনিয়োগ:
স্মার্ট বিনিয়োগ কৌশল সম্পর্কে প্রখ্যাত অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তা টনি রবিনস একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম- ‘মানি মাস্টার দ্য গেম’ । এই বইয়ে জনাব টনি রবিনস সুন্দর ভাবে আর্থিক স্বাধীনতা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন সাতটি ধাপে। এই ধাপ গুলো কে আর্থিক স্বাধীনতার জন্য নীল নকশা (Blue Print) হিসেবে গণ্য করা হয়।
৩.৪। স্টার্টআপে বিনিয়োগ:
যে বিনিয়োগে রিটার্ণ বেশি তাতে বিনিয়োগ করুন। আমাদের দেশের জন্য স্টক মার্কেটে খুব বিনিয়োগ করতে পারেন। স্টক মার্কেট সম্পর্কে আগে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আবার ঋণাত্বক বিষয় হল আমাদের স্টক মার্কেট স্থিতিশীল নয়। এজন্য এখানে বিনিয়োগ করে আপনি দ্রুত ধনী হতে পারবেন না।
ব্যাংককে সঞ্চয় করতে পারেন। কিন্তু ব্যাংকে বৃদ্ধির হার খুব কম (৪%)। তার উপর মূদ্রা স্ফিতির হার (প্রায় ৬%) বেশি। ধরুন ১০০০ টাকা ১ বছরের জন্য ব্যাংকে রেখেছেন। সুদ সহ ১ বছর পর হবে ১০৪০ টাকা আর মূদ্রা স্ফিতির কারণে ১০০০টাকার একটি জিনিস আপনাকে কিনতে হবে ১০৬০ টাকায়। তাহলে প্রতি হাজারে প্রতি বছর আপনি ২০ টাকা করে লস করছেন।
আপনি চাইলে বন্ড কিনতে পারেন। এটিও খুব ধীর গতির। স্টক মার্কেট, এফডিআর ও বন্ড এই তিনটির মাধ্যমে আপনাকে ধনী হতে হলে সারা জীবন অপেক্ষা করতে হবে। জীবনের অন্তিম লগ্নে হয়ত কিছু অর্থ আসবে। আশার কথা হল- বর্তমান সময়ে সেরা বিনিয়োগের উপায় হচ্ছে প্রযুক্তি বিষয়ক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করা।
সম্পর্কিত নিবন্ধন: কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
উপসংহার:
সার কথা হল- বৈধভাবে টাকা উপার্জন করে প্রকৃত ধনী হওয়ার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন:
- লক্ষ্য স্থির করুন, যা একটি বড় সমস্যার সমাধান দেবে এবং আপনার ভালো লাগে।
- পরিকল্পনা করুন
- কাজে ঝাপিয়ে পড়ুন
- নিজেকে দক্ষ করুন
- সময়কে কাজে লাগান
- দক্ষ টিম তৈরি করুন
- প্রযুক্তি ব্যবহার করুন
- আপনার উদ্যোগ কে স্বয়ংক্রিয় করুন
- যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান
- সর্বদা সৎ থাকুন
- খরচ কমান
- বিনিয়োগ করুন
- একাধিক আয়ের উৎস খুঁজুন
For personal and professional success, you can take this course: Emotional intelligence
পুরো ব্লগটির ভিডিও এখানে দেখুন:
টাকা উপার্জন সংক্রান্ত অন্যান্য ব্লগ:
টাকা ছাড়া শুরু করে কীভাবে ধনী হওয়া যায়?
টাকার অভাব কখনও হবে না যদি এ শিক্ষা থাকে
কীভাবে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে আপনি ধনী হবেন?
কীভাবে একটি স্টার্টআপ তৈরি করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়?
কোন সম্পদগুলো মানুষকে ধনী করে?
যে দক্ষতা গুলো আপনাকে ধনী করবে।
১০টি সেরা বই, যেগুলো আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে।
গ্রামে বসে কী কী ব্যবসা করা যায়?